click on images to know more about the Images
কাননবালার শান্তশিষ্ট নম্র স্বভাব,
সম্বচ্ছর সংসারে তার নিত্য অভাব ।
স্বামী খাটে জনমজুর, সেও ধরে মীন,
কোনো রকমে গরীবের কেটে যায় দিন।
এরই মাঝে দুঃখের মুখোমুখি হয়,
অসময়ে অভাগীর মা-টা মারা যায় ।
রীতি মেনে শ্রাদ্ধ সে করে চারদিনে,
স্বর্গে পাঠিয়ে মাকে খুশি মনে মনে ।
কয়দিন বাদে তার ভাই এসে বলে,
"জননীকে হারিয়ে যে ভেসেছি অকুলে।
টাকা, জমি কিছু নেই, জানিস তো তুই,
মার শ্রাদ্ধের এত খরচ কি করে মিটুই?
থাকার মধ্যে আছে শুধু বাস্তুভিটেখানা,
শ্রাদ্ধের দায়ে বেচলে, হবে পথে ঠিকানা ।
মরণ কালে মা নাকি তিনপাদ দোষ পায়,
তাই গতকাল ঘরে এসে ঠাকুর মশায়
ষোড়শ দান শ্রাদ্ধের দিলেন বিধান।
টাকা-কড়ি জোগাড়ের সমস্যা প্রধান ।"
ভাইটিকে বুকে টেনে দিদি সযতনে,
গুটিকয় কথা তারে বলে কানে কানে, --
' ভাবনার কিছু নেই, শোন্ মন দিয়ে,
বামন আসবে যখন ফর্দটা নিয়ে,
সোজাসুজি বলে দিবি, কতবার করে,
স্বর্গতে যেতে হয় মানুষদের মরে?
এই তো কাননদিদি চারদিনের মাথায়,
স্বর্গে পাঠালো মাকে।বর্তমানে তথায়
মা আছে স্বর্গসুখে। আমার শ্রাদ্ধ তাই,
বারো দিনে পুনরায় না করলে ক্ষতি নাই।'