click on images to know more about the Images
সুধাময় ফার্ষ্ট হয়েছে জেলায় মাধ্যমিকে;
নানান পুরস্কারে সবাই বরণ করে তাকে ।
পায়ে পায়ে এগিয়ে এল উচ্চমাধ্যমিক,
সেখানেও রাখল মেধার বিচার বৌদ্ধিক ।
এমনি সগৌরবে সকল শিক্ষা গ্রহণ শেষে,
ডব্লিউ.বি.সি.এস পাশে বিডিও হল অবশেষে ।
কিন্তু নামের শেষে দেখে পদবী বিশ্বাস,
'কোটার মাল' বলে সবাই করে উপহাস---
সংরক্ষণের ফলেই দেশটা হচ্ছে বরবাদ,
মানুষ মারার সঙ্গে হচ্ছে ব্রীজও কুপোকাত ।
শিক্ষা,স্বাস্থ্য,সমাজ,দেশ গেল রসাতলে,
স্বল্পমেধার অযোগ্যদের সংরক্ষণের ফলে।
এমনি ভাবেই হয়ে গেল কয়েক বছর পার ।
জাতের খোঁটাগুলো ব্যথা দেয় না তেমন আর।
এমত সময় দপ্তরে তার পিয়ন নিয়োগ হয় ।
অকালে মরা বাবার চাকরি ছেলে দাবিদার, তাই,
শুভ চক্রবর্তী সাংবিধানিক সুযোগ হেথায় পায়।
শুভ চক্রবর্তী ক্লাসমেট তার রসিক সর্বদাই ।
চাকরিদার বাপের ব্যাটা, ছিল না তাই চিন্তা,
পথে-ঘাটেই মস্তি-মজায় কাটিয়ে দিত দিনটা ।
লেখাপড়ায় লটর-পটর যতই তাড়া দিক
দু'তিন বার দিয়ে সে পাশ করে মাধ্যমিক ।
তারপরে তার টিকির নাগাল ছিল নাকো স্কুলে ।
মহিলা কেসে শোনা যায় গিয়েছিল জেলে।
বাবা-কাকার প্রভাব ছিল লোক-সমাজে তাই,
রাজনীতির দালাল ধরে বেকসুর খালাস পায়।
চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা তার ছিল নাই মোটে,
তেমন বিদ্যা-বুদ্ধিও তার ছিলও না ঘটে ।
অফিসার বাপের চাকরি না পেয়ে তাই শেষে
পিয়ন পদে যোগ দিল সে এই অফিসে এসে ।
কিন্তু মজার ব্যাপার, যেদিন অফিসে পা দেয়--
'আসুন ঠাকুর মশাই' বলে সম্মানিত হয়।
শ্রাদ্ধ,বিয়ে,অন্নপ্রাশন, এমন নানান কাজে
চক্রবর্তীই পরামর্শ দাতা সবার শুভ কাজে ।
তার উপরে পূজা করে যে ডাকে তার বাড়ি
অল্প দিনেই হাঁকিয়ে দিল ফ্ল্যাটবাড়ি ও গাড়ি ।