click on images to know more about the Images
বাঙালী সমাজে একটি বিখ্যাত প্রবাদ আছে- 'চাল ডাল আমার গৌরাঙ্গ তোমার' । অর্থাৎ গৌরাঙ্গকে পাওয়ার জন্য চাল ডাল দিয়ে যে প্রসাদ তৈরি করা হয়, পরিশ্রম করে তার জোগান দিল কেউ অথচ গৌরাঙ্গ নিল অন্যজন ,যে কোনো পরিশ্রমই করলো না।অর্থাৎ কোনো বিষয়ের প্রকৃতই যে মালিক তাকে ঠকিয়ে অন্য কারো দ্বারা সেই মালিকানা ভোগ করা।
ঠিক যেমনটি দেখা যায় পক্ষী শ্রেণির কাক ও কোকিলের মধ্যে।কেননা আমরা জানি কাক পরিশ্রম করে একটি বাসা তৈরী করে তার বাচ্চা দের লালন পালনের জন্য।সেখানে বহিরাগত নিষ্কর্মা কোকিল ছলনা করে বাসাটি দখল করে এবং কাকের সযত্নে রাখা ডিম গুলি ফেলে দিয়ে নিজে সেখানে ডিম পাড়ে। সে এমনি পাষন্ড যে অন্যের বাচ্চাকে তো নষ্ট করেই উপরন্তু নিজের বাচ্চাকে লালন পালন করে না।জন্মের পরেই এভাবে সন্তানকে ত্যাগ করার ঘটনা আর কোনো প্রাণির মধ্যে দেখা যায় না।এতটাই নিষ্ঠুর এই প্রজাতি।
অন্য দিকে কাক নিজের সন্তানকে যেমন লালন পালন করে তেমনি আবার কোকিল এর বাচ্চাকেও । এতটাই বোধ সম্পন্ন সে। এমনকী সে পরিবেশের নোংড়া আবর্জনা খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে।
তবে হ্যাঁ, কোকিলের প্রকৃতি দত্ত দুটি গুণ আছে। সে কাকের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সুন্দর এবং গলার স্বরও মিষ্টি।কিন্তু তা কবিকে হয়তো বসন্ত কালে রোমান্টিক করে তোলে কিন্তু সমাজের কোনো উপকারে আসে না।
ভারত বর্ষে আর্য-অনার্য দের অবস্থা ঠিক এই কোকিল ও কাকের মতো । 'চাল ডাল ' অনার্য দের অথচ 'গৌরাঙ্গ' দখল করে বসে আছে আর্যরা।সমস্ত উৎপাদন করছে অনার্য অর্থাৎ ভারতীয় বহুজন অথচ দেশের 95% সম্পত্তি চাকরি ,মন্ত্রিত্ব দখল করে আছে আর্যরা। এ অবস্থা আরও কত দিন চলবে কে জানে। কোকিলের ডাকে অর্থাৎ আর্যদের কথায় আর কত দিন যে ভারতীয় বহুজন সমাজের মানুষ নিজেদের দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখবে কে জানে ?
কিন্তু একটি বিষয়ে আশা আছে। কাকের কোনো বিপদ হলে বা মারা গেলে তারা সম্মিলিত ভাবে প্রতি বাদ জানায়। ভারতের এই অনার্য বহুজন যে কবে সম্মিলিত ভাবে আর্যদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে? তবে যেদিন জানাবে সেদিন তাদের মুক্তি ঘটবে। ঘটবেই-ই-ই -ই।