click on images to know more about the Images

ভণ্ড বিদায়

Author: স্বস্তি সরদার ভৌমিক

পাড়ার মোড়ে ভীষণ রবে তর্কাতর্কি চলে ,

সবার চেয়ে তীক্ষ্ম গলায় প্রবীণচন্দ্র বলে, ----

তুই তো হলি নাস্তিক, তা বুঝবি কি এ কথা? 

এঁড়ে তর্ক করে যে তোর গুইলে গেছে মাথা ।

তারের মধ্যে বিদ্যুত, তা চোখে কি যায় দেখা! 

ঈশ্বরও তো অদৃশ্য, তা ধর্মগ্রন্থেই লেখা ।

বিদ্যুত ও ঈশ্বর তাই দেখা নাহি যায় ।

তাই বলে কি ঈশ্বর এ জগত মাঝে নাই!

সব কিছুই তাঁরই হাতে, তিনিই চালক পিতা।

তাঁকে নিয়ে মিছামিছি তর্ক করাই বৃথা ।

 

নবীনচন্দ্র হেসে হেসে গড়াগড়ি যায় ।

নিজেকে সামলে নিয়ে প্রবীণকে বোঝায়,---

এই তো সেদিন রামপুরেতে উল্টো রথের মেলায়, 

রথের চূড়া ছুঁয়ে গেল বিজলী তারের দোলায়, 

ওমনি আগুন জ্বলে উঠে মানুষ পুড়ে ছাই ,

বিজলী প্রমাণ দিয়ে গেল আছে, কি, সে নাই।

তারের মধ্যে বিজলী যখন চলাচল করে, 

আছে কি নেই, প্রমাণ নিতে ছুঁয়ে দেখ তারে।

এমন কোনো প্রমাণ তোমার ভগবানের আছে? 

যদি থাকে তেমন প্রমাণ, দিক সবার কাছে ।

মানুষগুলোর বাঁচিয়ে দিয়ে, দিতে পারতো প্রমাণ

আছেন তিনি, সকল জীবের, ভক্তের ভগবান ।

মুখের কথায় বিশ্বাস করা নাহি যায়,

সব কিছুতেই বাস্তবতার প্রমাণ দিতে হয় ।

" বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর "।

ভণ্ডদের এ সব কথা ঝেঁটিয়ে কর দূর।