click on images to know more about the Images

দীর্ঘশ্বাস

Author: লিচ্ছবি নিত্য

মাঝে মাঝে বুকের মধ্যে বাসা বাঁধে একঝাঁক দীর্ঘশ্বাস,

যন্ত্রণারা দলবেঁধে ছুটোছুটি করে বুকের মধ্যে থাকা মস্ত শহরের এপাশ ওপাশ,

এ গলি ও গলি...

কিছু অচিনযন্ত্রণারা এত পোড়ায়, এত পোড়ায় যে এক একটি দীর্ঘশ্বাসের সাথে বের হতে থাকে 

কালো কালো ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধ। 

কি পোড়ে? 

পোড়ে বুকের ভিতরে রক্তেমাংসে গড়া এক একটি স্বপ্নের ইমারত,

একটি স্বপ্নের কবিতার পাতা,

মিথ্যে ভালোবাসায়,মিথ্যে স্বপ্নে কারো নামে গেঁথে রাখা মালা।

আর সেই ইমারত, সেই কবিতা,সেই মালা যখন একরাশ কালো কালো ধোঁয়া হয়ে বেরিয়ে যায় এক একটা দীর্ঘশ্বাসে...

তখন,

তখন নিজেকে বড্ড হালকা লাগে।

মনে হয় যেনো ওগুলো দীর্ঘশ্বাস নয়,

বুকের উপর থেকে নেমে যাচ্ছে এক একটি পাথর।

যে পাথরের নিচে চাপা পড়ে থাকতো এক একটি দুঃখ,

এক একটি কষ্ট, আর কিছু মেঘ,

ঐ পাথরটা নেমে যাওয়ার সাথেই সদ্য স্বাধীন হওয়া মেঘগুলো,দুঃখ গুলো,কষ্ট গুলো...

ছুটোছুটি শুরু করে অবাধে বুকের মধ্যে থাকা সেই সুপ্ত শহরটায়,

তারপর....

অঝোরে নেমে আসে শ্রাবণ। 

কোনো কারণ নেই,সময় নেই,আগে থেকে কোনো পূর্বাভাসও নেই...

ঝড় ওঠে, অঝোরে বৃষ্টি ঝরে, হাওয়ারা ছোটে এলোমেলো, বন্যায় প্লাবিত হয় সমস্ত বুকের জমিন,

চাঁদনী বদন.....

হোক পৌষের কুহেলী ঝরানো রাত,হোক গ্রীষ্মের কাঠফাটা দুপুর। 

এই যে যন্ত্রণা গুলো,বড্ড বেখেয়ালি 

এই যন্ত্রণাগুলো জানে না 

মিথ্যের ইমারতে বাঁচতে দিতে,

এই কষ্ট গুলো জানে না

কবিতার পাহাড় জমাতে।

এই দীর্ঘশ্বাস জানে না 

ঝড় থামাতে।

তবে এত কিছুর পরও এই দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা আর দীর্ঘশ্বাসগুলোই পারে..

মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে। 

মানুষকে এগিয়ে যেতে 

নিজেকে ভালোবাসতে শেখাতে।