click on images to know more about the Images
ভালো করে গোঁফ দাড়ি গজায় নি শশাঙ্কর। উপবিত গ্রহণের দিন কয়েক পর বাবা রামতারন চট্টোপাধ্যায় তাকে ডেকে বললেন, -" ব্রাম্মনের ছেলে , আর অপেক্ষা কেন, নেমে পড় এবার যজমানের কাজে। উপার্জন ভালোই হবে।"
সেই অবধি শশাঙ্ক সব সবসময় সতর্ক থাকত। কেউ যদি ছেলেমানুষ ভেবে তাকে উপযুক্ত খাতির না করে ! এবং সেকারনে সে অসম্ভব রকম গম্ভীর হয়েই থাকতো। এবং কথায় কথায় সংস্কৃত বোলচাল এমন উপদেশের ঢঙে বলত যে যজমান -বাড়ির লোকজন ভাবতো, - "নাঃ,এই বামুনের বয়স অল্প হলে কি হবে! যথেষ্ট পাণ্ডিত্য আছে । "
সেদিন সকালে শশাঙ্ক পুজো করতে এসেছে ছাটুই বাড়িতে। বাড়ির বউঝিরা অল্প বয়সী পুরোহিতকে চেয়ারে বসতে দিয়ে ঠাকুর ঘরে পুজোর জোগাড়ে ব্যস্ত ।
শশাঙ্কর কেন জানিনা মনে হলো তার আপ্যায়ন বুঝি কম হচ্ছে!নিজের দর বোঝাতে বাড়ির গৃহিনীর উদ্দেশ্যে হাঁক দিয়ে বলল, -" ও জ্যেঠিমা আমার পা ধুইয়ে দিয়ে যাও। "
ছাটুই বাড়ির গ্র্যাজুয়েট ছোট ছেলে বাচ্চাদের নিয়ে পড়তে বসে ছিল বারান্দার এককোনে। শশাঙ্কর কথা কানে যেতে ধমকে উঠে বলল, -" মারবো গালে এক টেনে চড়। যা পুকুর থেকে পা ধুয়ে আয়। "
মা কাকিমাদের উদ্দেশ্যে খেঁকিয়ে উঠে বলল, -" যারা তোমাদের সন্মান দেয় না , ডাকো কেন তাদের? "
ঠাকুরঘরের কাজে ব্যস্ত থাকা মহিলারা থতমত হল।
শশাঙ্ক অবাক হল। তার মুখ কালো হয়ে উঠেছে। মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে পুকুর ঘাটের দিকে এগিয়ে গেল।
১২/০১/২০২৪