click on images to know more about the Images

ফিরে দেখা

Author: ড. শম্ভু নাথ দফাদার

নাম তার বকুল।

গায়ের রং শ্যামলা,

বিশুদ্ধ বাংলা বলে।

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে

পরিচয় দুজনের।

এমএ পড়ি যে সময়।

 

আজও সেই ম্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো, ভেসে বেড়াই চিত্ত পটে।

আষাঢ়ের মেঘের মতো

ঘন চুল তার।

ভ্রু জোড়া চাতক পাখি

দিবানিশি চায় নির্মল

প্রেমের জল।

 

সে প্রতিদিন বাসে আসে,

রঙ বেরঙের পোশাকে।

 হাঁটে এক অভিনব ছন্দে।

 যখন ক্লাসরুমে ঢুকে

 অবাক চাহুনি চোখে

 যেন সূর্যমুখী ফুল।

 হাসিতে মুক্ত ঝরে 

 দুই গালে টোল পরে।

 

 যত দিন যায়, দুজনের মাঝে

 দূরত্ব কমে যায়।

 সবুজ ঘাসে পাশাপাশি বসে

 বাদামের ঠোঙা হাতে

 এলোমেলো গল্পকথা।

 বকুল ছবি আঁকে

 নাচে ভালো, ধামসা মাদলের তালে তালে।

 আমি কবিতা লিখি

 ক্লান্ত জীবন ব্যার্থ প্রেমিকের।

 অভিমান হলে রাতের আকাশে তারাদের মাঝে

 সেই শান্ত স্নিগ্ধ, মিষ্টি হাসি মাখা মুখ খানি খুঁজি।

 

 এক নিঝুম সন্ধ্যায় বসি কবিতা লিখতে, কানে বাজে বকুলের কথা

 একটা চাকরি জোগাড় কর।

 পদ্য নয় ,।গদ্যময় পৃথিবী।

 কবিতা লেখা হয়নি সেদিন

 আমার চাকরি ও হয়নি

 হবে না কোনদিন। মেধা নয়,

ট্যাঁকের জোর, শক্ত খুঁটি চাই।

 ও দুটোর কোনটাই আমার ছিল না।

 রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র বুঝি সব

 বোঝাতে পারিনা বকুলকে। সমান যোগ্যতা, সমান অধিকার। সেও তো পারতো

 স্কুলের দিদিমণি,

 অফিসের কেরানী হতে।

কথায় কথায় অভিমান,

বলতে পারিনা যা বাস্তব যা সত্য।

 

 স্বপ্ন রঙিন দিনগুলো

 ক্রমশ সবুজ হলদ ঝরাপাতা

 এক বসন্ত বিকেলের চিঠি এলো ডাকে

 নীল খামে সবুজ কালিতে লেখা, এ চিঠি যখন পাবে,

 তখন আমি বহুদূরে, প্রবাসে।

 একটা কথা বলা হয়নি,

 এখন আমি নতুন ঠিকানায়।

 নিচে স্বাক্ষর করা বকুল

  শেষে একটি তীর বেঁধা পাখির ছবি আঁকা ।