click on images to know more about the Images

কৈলাস থেকে কলকাতা ( ষষ্ঠ পর্ব)

Author: নলিনী রঞ্জন মন্ডল

 

(পূজা মণ্ডপের সামনে। মঞ্চের এক দিকে ক্যামেরাম্যান দাঁড়িয়ে, অন্য দিকে মাইক্রোফোন হাতে সাংবাদিক এবং পাশে কেষ্ট )

 

সাংবাদিকঃ- (দর্শকাসনের দিকে তাকিয়ে ) নমস্কার। সাত-সতেরো চ্যানেল থেকে আপনাদের আজ একটা বিশেষ সাক্ষাৎকার শোনাচ্ছি। (কেষ্টর দিকে মাইক্রোফোন ধরে ) আপনার নাম? 

 

কেষ্টঃ- আমার নাম কেষ্ট মিত্তির। 

 

সাংবাদিকঃ- একটু পরিচয় দিন। 

 

কেষ্টঃ- আমি এই কুড়কুড়ে ক্লাবের সেক্রেটারি। 

 

সাংবাদিকঃ- আচ্ছা, এবছর দেখছি আপনাদের ক্লাবে জনসমুদ্র উপচে পড়ছে। কারণটা কি? 

 

কেষ্টঃ- কারণ একটাই। মাছের আঁশে তৈরি এই অভিনব প্যাণ্ডেল বানানোর জন্য। 

 

সাংবাদিকঃ- বাঃ! চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নতুনত্ব আছে। তা এতো আঁশ কিভাবে কালেকশন করলেন? 

 

কেষ্টঃ- কলকাতার যতো মাছ বাজার আছে, আমাদের পঞ্চাশ জন সদস্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঐসব বাজার থেকে তা সংগ্রহ করেছে।  

 

সাংবাদিকঃ- একটু আশ্চর্য হচ্ছি, শহরের যুবকরা নোংরা আঁশের গন্ধ ঘাটতে পারলো? 

 

কেষ্টঃ-এমনি কি আর কেউ পারে! ক্লাবের তরফ থেকে প্রাপ্তি যোগের ঘোষণা করা হয়েছে যে! 

 

সাংবাদিকঃ- প্রাপ্তিযোগ! কেমন প্রাপ্তিযোগ? 

 

কেষ্টঃ- যেমন, পুজোয় নতুন জামা প্যান্ট, পুজোর ক'দিনের হাত খরচ দেওয়া। 

 

সাংবাদিকঃ- এই বিপুল খরচটা কিভাবে মেকআপ করলেন? 

 

কেষ্টঃ- কিভাবে বলতে- কে আর দেবে! সবই এই কালেকশন করা চাঁদা থেকে। এছাড়া আরো কিছু আছে- তা আর জানতে চাইবেন না। বলা যাবে না। 

 

সাংবাদিকঃ- ঠিক আছে। এবার দেব-দেবীদের সাক্ষাৎকারটা-

 

কেষ্টঃ- এখানে দাঁড়ান, পূজা শেষ হয়ে গেছে। ওনারা এক্ষুনি আসবেন। (চলে যায়)

 

সাংবাদিকঃ- প্রিয় দর্শক, ঐ দেখুন- মা গৌরী আসছেন। (গৌরী আসে) প্রণাম নেবেন মা। 

 

গৌরীঃ- বলো। বেশিক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারবো না। 

 

সাংবাদিকঃ- কেনো মা? কি কষ্ট আপনার? 

 

গৌরীঃ- বুঝতে পারছো না? মাছের আঁশের যা গন্ধ- পেটের ভাত বেরিয়ে আসার জোগাড়! কটা দিন কী কষ্টে আছি! 

 

সাংবাদিকঃ- মাছের আঁশের প্যাণ্ডেল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তেমন গন্ধ-

 

গৌরীঃ- পাচ্ছো না? তোমরা তো বাঙালি! মাছের গন্ধে অভ্যস্ত। 

 

সাংবাদিকঃ- এমন কথা বলছেন কেন মা? আপনিও তো বাঙালি ঘরের মেয়ে। 

 

গৌরীঃ- কোথায় পেলে এ তথ্য? 

 

সাংবাদিকঃ- এটা তো সবাই জানে! এই শরৎকালে প্রতিটা বাঙালি বাড়িতে সাজে সাজে রব পড়ে যায়। সবাই বলে- উমা বাপের বাড়ি আসছে। 

 

গৌরীঃ- ভুল কথা। আমার মুখের আদলে পাহাড়ি ছাপ। বুঝতে পারো না- আমি হিমালয় কন্যা? 

 

সাংবাদিকঃ- হ্যাঁ, তা অবশ্য কিছুটা বোঝা যায়, কিন্তু-

 

গৌরীঃ- শোনো, বাঙালি তো চিরকাল হুজুগ প্রিয় । কোনো এক সময় হুজুগের বশে আমাকে কলকাতায় নিয়ে আসে। সেই তখন থেকে আমার ছেলে মেয়েদের কলকাতার প্রতি একটা টান পড়ে যায়। তাই বছর বছর এখানে আসা। 

 

সাংবাদিকঃ- ধন্যবাদ মা। এটা আমাদের গর্ব। আপনাকে আনতে পেরে আমরা ধন্য হই। 

 

গৌরীঃ- আর ধন্য হতে হবে না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আগামী বছর থেকে এখানে আর আসবো না। 

 

সাংবাদিকঃ- সেকি! এই উৎসব উপলক্ষে কতো কোটি কোটি টাকার কারবার চলে, কতো দুঃস্হ লোকের রুটি-রুজির রাস্তা খুলে যায়। আর আপনি এমন কথা বলছেন কেনো মা? 

 

গৌরীঃ- একটু চোখ কান খুলে দেখলে বুঝতে পারবে- এখানকার মানুষের ভক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। 

 

সাংবাদিকঃ- তাই? তা কি করে বুঝলেন মা? 

 

গৌরীঃ- সবাই লাইট প্যাণ্ডেল দেখতে আর নিজেদের সাজগোজ দেখাতে আসে। আমার দিকে খরচের বহর কমিয়ে কিভাবে আশীর্বাদ নেওয়া যায়- সেই ধান্ধায় থাকে। মানুষ এখন চিটিং করা, ভড়ংবাজিতে মজে গেছে। এদের দ্বারা আর কিচ্ছু হবে না! ধুর! (বিরক্ত হয়ে চলে যায়) 

 

সাংবাদিকঃ- যাঃ! মা চলে গেলেন। ঐ তো মায়ের মেয়েরা আসছেন। (রমা ও শ্বেতা আসে। রমাকে) শুনেছি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। তাই বেশি সময় নেবো না। সামান্য দু একটা প্রশ্ন করি। এদেশের প্রায় সবাই টাটা বিড়লা হওয়ার আশায় আপনাকে পুজো করে। কিন্তু কেউ হতে পারছে না, নাকি আপনি করছেন না- একটু খুলে বলবেন? 

 

রমাঃ- পারবো না। বলা বারণ আছে। 

 

সাংবাদিকঃ-( অবাক হয়ে) কেনো? বারণ কেনো?  

 

রমাঃ- সব বলে দিলে পুরোহিতের পেটে ভাত জুটবে না। 

 

সাংবাদিকঃ- এ আপনি কি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন? 

 

রমাঃ- যা সত্যি তাই বলেছি। এর বেশি আর কিছু বলবো না। 

 

সাংবাদিকঃ- ঠিক আছে। (শ্বেতাকে) আপনি তো বিদ্যা বুদ্ধির অধিকারিনী। তাহলে সেই বিদ্যা সবাইকে ঠিক মতো বিতরণ করছেন না কেনো?  

 

শ্বেতাঃ- বিতরণ করছি না- কে বললো? আগের থেকে এখন শিক্ষিতের হার বাড়েনি? 

 

সাংবাদিকঃ- বেড়েছে, তবে প্রকৃত জ্ঞান বিবেক শূণ্য। পুঁথি শিক্ষিতরা দেশের বুকে ছুরি বসাচ্ছে, স্বদেশী সৈনিক অর্থের লোভে দেশের গোপন নথি বিদেশে পাচার করছে, মন্ত্রী হয়ে ঘুষ খাচ্ছে, বিজ্ঞান পড়া ছেলে মেয়েরা কুসংস্কারকে আঁকড়ে ধরে গঙ্গায় স্নান করে শুদ্ধ হচ্ছে। এর কারণ কী? 

 

শ্বেতাঃ- হ্যাঁ, অভিযোগ গুলো ঠিকই। এর কারণ, মানুষের প্রতি আমার একটা চাপা ক্ষোভ আছে। তার জন্য ইদানিং একটু উদাসীন থাকছি। 

 

সাংবাদিকঃ- ক্ষোভ! কিসের ক্ষোভ? 

 

শ্বেতাঃ- এই যে আমরা একই মায়ের দুটো মেয়ে। (রমাকে দেখিয়ে) এর বেলায় নিত্য পুজোর ব্যবস্থা আছে। আর আমার বেলায় বছরে একবার। কেনো এমন দু'রকম নীতি হবে? 

 

সাংবাদিকঃ- হে হে হে! এই কথা? দেখুন, এ যুগে অর্থই তো সব। আর উনি অর্থের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। এখানে আপনার ব্যাপারটা তো একটু আলাদা। 

 

রমাঃ- আচ্ছা একটা কাজ করলে হয় না? 

 

সাংবাদিকঃ- কী কাজ? 

 

রমাঃ- এখন তো টিভি সিরিয়ালের বেশ রমরমা। তবু ঐ ডিপার্টমেন্টে এখনো কোনো দেবদেবী নেই। আপনারা ওখানে এই শ্বেতাকে তো বসাতে পারেন। 

 

সাংবাদিকঃ- এটা আপনি মন্দ বলেননি। ঠিক আছে, এ ব্যাপারটা ধর্মীয় ধ্বজাধারীদের কানে তুলবো। কারণ, ওরাই তো নিত্যনতুন পূজার আবিষ্কারক। (চিন্তা করতে করতে) তবে ওখানে একটা সমস্যা আছে। আপনার বাবা নটরাজ তো- 

 

শ্বেতাঃ- ছাড়ুন তো ওসব! বাবার প্রলয় নৃত্য দেখছেন- দেখুন, তা বলে অভিনয়ের দিকটা সামলাতে দিলে নেশার ঘোরে সব মাটি করে দেবে। আয়। (রমাকে নিয়ে চলে যায়) 

 

সাংবাদিকঃ- মহা মুশকিল! মানুষ কোন দিকে যাবে! আচ্ছা ঐ তো আসছেন গণপতি বাবা মোরিয়া। (গণা আসে) আসুন-আসুন। বলুন, আপনি কি বলতে চান। 

 

গণাঃ- বেশি কিছু বলতে পারবো না। ডাক্তার নিষেধ করে দিয়েছে। 

 

সাংবাদিকঃ- ডাক্তার! কেন কি হয়েছে আপনার? 

 

গণাঃ- কাল রাতে যখন প্যাণ্ডেল থেকে ফিরি, তখন হঠাৎ একটা দুর্ঘটনা ঘটে। 

 

সাংবাদিকঃ- সর্বনাশ! কি দুর্ঘটনা ঘটলো? 

 

গণাঃ- এক বাচ্চার হাত থেকে একটা বেলুন উড়ে যায়। বাচ্চাটা প্রথমে খেয়াল করেনি। পরে খেয়াল হতেই বেলুনের দড়ি বেঁধে আমার শুঁড়টা ধরে অনেক টানাটানি করে। 

 

সাংবাদিকঃ- ইস! তারপর? 

 

গণাঃ- আমিও প্রাণপণে ছাড়াবার চেষ্টা করি। ও বুঝতে পেরে হঠাৎ ছেড়ে দিতেই আমি টাল সামলাতে না পেরে ছিটকে পড়ি পিছনে ইটের উপর। ভীষণ ব্যথা পাই। 

 

সাংবাদিকঃ- আহারে! আপনার যা ভারী শরীর! লাগেনি তো? 

 

গণাঃ- লাগেনি মানে! ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছে! 

 

সাংবাদিকঃ- বুঝতে পারছি- আপনার শরীরের অবস্থা ভালো নেই। ঠিক আছে, একটা ছোট্ট প্রশ্ন করি। প্রশ্নটা হলো- এতো দেবী, মানবী, রাক্ষসী থাকতে শেষে কলা গাছ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন কেনো? 

 

গণাঃ- দুর্ভাগ্যের কথা কি আর বলি! আমার তো গজমুণ্ড। এসব দেখে মেয়েরা ভয় পায়। কিন্তু বিয়ে তো করতে হবে, তাই অনেক ভাবনা চিন্তা করে শেষে কলা গাছ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। (চলে যায়)

 

সাংবাদিকঃ- বাঃ! এমন দূরদর্শিতা ও মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। 

 

(কাতু গান গাইতে গাইতে আসে) 

 

কাতুঃ- (সুরে) আমি নায়ক হবো- আমি নায়ক হবো। 

 

সাংবাদিকঃ- আপনি তো বেশ ভালো গান করেন! মহর্ষি নারদের কাছে গান শেখেন নাকি? 

 

কাতুঃ- দূর! নারদ মামার গান শোনার মত নাকি? ও শুধু বলে- নারায়ণ, নারায়ণ। আমি কলকাতার গান ভালোবাসি। তাই পুজোয় এলেই প্যাণ্ডেলে দাঁড়িয়ে গান শুনতে শুনতে শিখে নিয়েছি। 

 

সাংবাদিকঃ- বাঃ! খুব ভালো। 

 

কাতুঃ- কলকাতাটা আমার পছন্দের শহর। এ শহর আমার পায়ের তলায় মাটি দিতে চলেছে। আগামী দিনে টেলিভিশন চলচ্চিত্রের নায়ক হতে চলেছি। 

 

সাংবাদিকঃ- (আনন্দিত হয়ে) ওয়েলকাম। বাংলা চলচ্চিত্রে এখন খরা চলছে। আপনার মতো একজন সুদর্শন নায়ক পেলে সিনেমা প্রেমীরা লুফে নেবে। 

 

কাতুঃ- ধন্যবাদ। তাহলে দয়া করে আপনাদের চ্যানেলে আমার পক্ষ হয়ে কিছু বলুন, যাতে আমার ভিতটা একটু শক্ত হয়। আপনাদের কাছে এইটুকু আশা করি। (চলে যায়)

 

সাংবাদিকঃ- নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। (হঠাৎ বাইরে শোরগোল) কিসের শোরগোল! 

 

(মহিষকে ঠেলতে ঠেলতে গোবরা আসে)

 

মহিষঃ- আমি যাবো না গোবরাদা। ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলবো না। 

 

 

গোবরাঃ- সবাই বলে চলে গেলো আর তুই বলবি না মানে? তোকে বলতেই হবে। 

 

মহিষঃ- ভারতীয়দের সাথে কথা বলতে ঘৃণা করি। এরা ইতিহাস বিকৃত করে। 

 

সাংবাদিকঃ- একটা প্রমাণ দিন। 

 

মহিষঃ- ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সিরাজ থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র পর্যন্ত যারা যারা লড়াই করেছে, তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাহলে আমাদের বেলায় নয় কেনো? দেশ রক্ষার্থে বিদেশি আর্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। কই, কোথায় আমাদের বীরের সম্মান? উল্টে অসুর, রাক্ষস বলে ঘৃণা করছে। এই যদি প্রতিদান হয়, তাহলে তো মাতৃভূমি রক্ষার জন্য আর কেউ এগিয়ে আসবে না। 

 

গোবরাঃ- সত্যি তো! গুরুত্ব দিয়ে আমরা কেউ এ কথা তো ভাবি নি। মহিষ, দুঃখ করিস না ভাই। 

 

মহিষঃ- দুঃখ করলে শুনবে কে? সবাই নিজের স্বার্থে গোলামী নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। অতএব আমার কিছু বলার নেই। আমি চললাম। (চলে যায়)

 

সাংবাদিকঃ- আজকের মতো সাক্ষাৎকার শেষ। ক্যামেরাম্যান। সব গুটিয়ে নিয়ে চলো। (ক্যামেরাম্যানকে নিয়ে চলে যায়)

 

গোবরাঃ- সবাই কেটে পড়লো। আমি আর থাকি কেনো! চলি। (যেতে উদ্যত) 

 

(হঠাৎ নেড়া দৌড়ে আসে)

 

নেড়াঃ- গোবরা কাকা । তুমি এখানে আর ওদিকে কি কেলো হয়ে গেছে! 

 

গোবরাঃ- (আশ্চর্য হয়ে) কি হয়েছে? 

 

নেড়াঃ- রাস্তায় আপ ডাউন সব গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ হয়ে গেছে। 

 

গোবরাঃ- বন্ধ হয়ে গেছে! কেনো? 

 

নেড়াঃ- কোথাকার কে একটা লম্বা-চওড়া, ভুড়িওয়ালা লোক গাঁজা খেয়ে রাস্তার মাঝখানে শুয়ে পড়েছে। 

 

গোবরাঃ- তাই নাকি! তারপর? 

 

নেড়াঃ- পুলিশ এসে লাঠির গুঁতো দিচ্ছে, তবু সরছে না। শেষে দমকলের গাড়ি এসে গায়ে জল দিতে তবে নেশা কাটে। তারপর হুঁশ ফিরে শুধু তোমার নাম করছে। 

 

গোবরাঃ- এই মরেছে! কে বলতো লোকটা? 

 

নেড়াঃ- কি জানি! তবে অনেকে বলছে- কয়েকদিন হলো লোকটা নাকি কাপড়ের গাঁটরি নিয়ে আমাদের পাড়ায় ফেরি করে বেড়াচ্ছে। 

 

গোবরাঃ- (চমকে উঠে) য়্যাঁ! কি বলিস! চল-চল, তাড়াতাড়ি চল দেখি! (নেড়াকে নিয়ে চলে যায়)

 

(মঞ্চের আলো নিভে আসে)