click on images to know more about the Images
সে এসেছিল নিঃশব্দে নীরবে
বসে ছিল শ্যাওলা ধরা সিড়িতে, সারাটা বিকেল কেটেছে---প্রণয় প্রতিক্ষায়।
নাম তার বৃষ্টি।
এক সাঁওতালী মেয়ে।
বৃষ্টির অঙ্গে যৌবনের পাপড়ি
খসছে অবিরত।
ড্যাব ডেবে কালো দুটি চোখ।
হাসি যেন তার আয়নায় খসে
পড়া সকালের রোদ।
অবাধ্য চুল তার হাওয়ায় উড়ে, মন তার সোনালী সবুজ।
গা-ছম ছম এক আঁধারী
জ্যোৎস্নায় সে দেখেছিল--- কোন এক পাহাড়ীয়ার হাত ছানি। ঘুম ছিল না চোখের পাতায়, কত রাত কেটেছে
অনিদ্রায়।
তারপর,
এক, আষাঢ়ের দুপুরে ঘনিয়ে এলো কালো মেঘ সহসা, শুরু হলো মেঘ ভেঙে বরষা।
দূ্যন্ত ঝরণা সেদিন পাহাড় থেকে আছড়ে পড়লো,
ভয়ে কেঁপে উঠলো বুক।
বন্যায় ডুবে গেল নদী চর,
স্বপ্ননীড় ভেসে গেল
স্রোতের টানে।
একটা নীল প্রজাপতি উড়ে
গেল উত্তর থেকে দক্ষিনে।
তারপর,
কত বসন্ত ফিরে গেছে শঙ্খচিলের ডানায় দূর থেকে দূরে।
বৃষ্টিও বদলে গেছে
তবুও বন পাহাড়ীর দেশে
বসন্তের বিকেলে---শাল মহুয়ার বনের ফাঁকে ফাঁকে
যখন মুঠো মুঠো আবীর ছড়িয়ে পড়ে,
একটা একটা বিষণ্ণ মুখ চেয়ে
থাকে দূর পাহাড়ের দিকে অপলক নয়নে,
নাম তার বৃষ্টি।