click on images to know more about the Images

শিবদাস সাহার কবিতা গুচ্ছ

Author: শিবদাস সাহা

    সোশ্যাল মিডিয়া

কে বলেছে
কে বলেছে তুমি শুধুই টাইম ওয়েস্ট।
তোমাতে কোনো আলো নেই
পুরোটা জুড়েই যে ভালো হতে হবে
এমন তো কোনো কথা নেই।
তোমাকে যারা করেছে নিজের
খুঁজে দেখো তাদের
অল্প হলেও মিলেছে সন্ধান সুখের ।
কত মানুষ যে আজ ঘুরে ফিরে
শুধুই নিজের মনের খবর 
কাউকে একটা জানাবে বলে।
তার কোনো হিসাব নেই
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একটা মনের মতো মানুষ সকলে পাইনা
যার কাছে নির্দ্বিধায় সব বলে ফেলা যায়।
যার কাছে সকল দুঃখ-কষ্ট, মান-অভিমান
সুখ-শান্তি, হাসি-মজা প্রতিটা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া যায়।
আর যারা এই মানুষ গুলো পেরে উঠেনা 
তারাই আসলে তোমাকে আপন করে নিয়ে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকে ।
রাগ অভিমান, ব্যথা বেদনা সব কিছুই তোমার মাঝে বিলিয়ে দিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
অপ্রকাশিত চেপে রাখা সব ইচ্ছে বা স্বপ্নগুলো যেন তোমার কাছেই পরিণতি পাওয়ার দিশা খুঁজে পায়।
আজ তুমি আছো বলেই কত শত মানুষ একটু শান্তির ছোঁয়া পায়
তুমি আছো বলেই শত শত প্রিয়জন হারিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তারা যেন নিকটেই থেকে যায়।
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে কথা হোক বা না হোক
যোগাযোগটা যেন থেকেই যায়
যোগাযোগটা যেন থেকেই যায়।


  হঠাৎ আজকে
কতদিন পর...
আবার দেখা, হলোই তবে!
আছিস কেমন তুই?
জানতেই হবে,
পারিনা কি জানতে চাইতে,
হঠাৎ আজকে!
এখনও এত্তো রাগ পুষে
জায়গা নেই আর এ মনে,
আমার!!!
রাগ অভিমানের,
জানিস তোর কথা খুব মনে পড়ে
ঢেকে যাবে প্রিয়মানুষের ভিড়ে,
প্রিয় কি তুই ছিলি না
ছিলাম হয়তো,
হাজার প্রিয়র মাঝে 
হারিয়ে ফেলেছিস যেভাবে নিজেকে
ইচ্ছে হয়নি আর জানতে।
তাছাড়া
নতুন মানুষ এলে পরে পুরাতনরে  
কেই বা চাই রাখতে মনে।
তুই কি রাখিসনি তবে,
নতুনরে আর আসতে দেয় কে...
বড্ড অভিমান তোর
এতদিনে বুঝেছিস তবে ৷
কি পাস এইভাবে?
পাওয়ার আশা হারিয়েছে সেই কবে,
চুপিসারেই তো হারিয়ে গেলি
খোঁজার চেষ্টা করেছিলি?
কিছুই তো বলিসনি আমায়
ছিল কি আদৌ শোনার সময়,
অধিকারটা তো এটুকু ছিল
প্রয়োজনটা বড়ই সীমিত ৷
তোকে বোঝা; সত্যিই, গেলনা আজও
আমার কথা আর
কখনই বা তোকে ভাবাতো। 
বল তবে আজ শুনবো
অভিযোগ তোর আছে যত
পৌঁছে গেছি এবার নামবো।
দাদা ভাড়াটা...
আমার ছবি; এখনও পার্সে!
সমস্যা কিছু,
থাকলে সাথে?
আমায় কেন এড়িয়ে যাচ্ছিস তবে
সময় নেই তেমন হাতে,
ব্যস্ত থাকি,
ব্যস্ত রাখতে নিজেকে।
ব্যস্ত থাকি,
ব্যস্ত রাখতে নিজেকে৷


    হাস্য পাখি
জানিস এখন বড্ড হাসি
সুখে দুঃখে হেসেই বাঁচি,
বাস্তব কে দিয়ে ফাঁকি
তোকে নিয়ে স্বপ্নেই হাসি।

হাসি হাসি বড্ড হাসি
যখন তখন হেসেই মাতি।

পড়লে মনে তোকে হাসি
সামনে তোকে দেখলে হাসি
হাসতে তোকে দেখতে হাসি
তাইতো হাসতে ভালোবাসি।

হাসি হাসি বড্ড হাসি 
যখন তখন হেসেই মাতি।

হাসি নেই তবুও হাসি
থামতেই চাইনা হাস্য পাখি।
মনের কথা মনেই গাঁথি
হাসি দিয়েই চেপে রাখি।

হাসি হাসি বড্ড হাসি 
যখন তখন হেসেই মাতি।

হাসি দিয়েই থাকুক বাজি
নিত্য নতুন রঙে সাজি,
কেটে যাচ্ছে যেমন রোজই
হাসতেই যেন ব্যস্ত থাকি।


        মা
মাগো তোমার চরণতলে 
থাকি যেন চিরতরে।
তোমার কোলে মাথা রেখে
শান্তির ঘুম আসে ঢলে।
কষ্ট তুমি পাও যদি 
শান্তি পাবনা কখনও আমি।
মাগো তোমার আঁখি জলে
বন্যা যেন না বয়ে চলে
এ জগৎ কুলে।
তুমি যদি হওগো মা সুখী
থাকবো আমি সদা হাসি খুশি।
তুমি যাবেনা কখনও চলে
এ জগৎ সংসার ছেড়ে।
পারবো না শোধ করতে
তোমার ঋণ শত জনমে।
তোমার স্নেহ ভালোবাসা
আর পাবোনা অন্য কোথা।
তুমি চলে গেলে মাগো
এই আমি কেমনে থাকিব
নিঠুর এই পৃথিবীতে।
তুমি থেকো মা অমর হয়ে
আমি যাই চলে
এ পৃথিবী ছেড়ে, সবার আগে।


  স্বপ্নকুমারী
আহামরি!!!
কি অপরূপ সুন্দরী!
নাম কি তোমার?
স্বপ্নকুমারী।
থাকো কোথায়?
নাম জানা নাই।
এলে কোথা থেকে?
ভুলে গেছি চলতি পথে।
এখন তবে যাবে কোথায়?
মন মাতবে যে ঠিকানায়।
এখানেতেই থামো তবে
বাঁধব বাসা তোমার সাথে।
যেতে হবে বহু স্বপনে
আছে কি সময় অতো 
আমার হাতে,
কিছু গল্প হতেই পারে
তোমার আমার দুজনাতে।

        মানুষ হবো
একদিন আমি মানুষ হব 
প্রকৃত কর্ম বুঝে নেব।
আছে যা অন্তর্নিহিত
মান-হুঁশের মর্মে যত।

একদিন আমি মানুষ হব
মুখোশ সব খুলে ফেলব।
অন্যের আছে দুঃখ যত
করবে আমায় মর্মাহত।

একদিন আমি মানুষ হব
সবার বিপদে ছুটে আসব।
সমাজ যখন বিপর্যস্ত
ভুলে যাব স্বার্থ যত।

একদিন আমি মানুষ হব
সবকিছুকে আপনা নেব।