click on images to know more about the Images

ও বাবা নীলকন্ঠ আর তো খাতি পারবুনি বাপ!

Author: কুমকুম নাইয়া

সে অনেক দিনের কথা! 

ক্যানিং এর কাছাকাছি এক গ্রামের ভূস্বামী ছিলেন নীলকন্ঠ নস্কর। তিনি অনেক জমির মালিক। সেকালের রীতি অনুসারে জমিকে ঘিরে মামলা হতো খুব। সম্পত্তি বাঁচাতে নীলকন্ঠকে মামলা লড়তে হতো। মামলার জন্য প্রায়ই আসতেন কলকাতায়। এবং হোটেলে খাওয়া দাওয়া সারতেন । 

 

সেকালের হোটেলগুলোতে জাতের বিচার করে আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা থাকতো। কারণ দেশে সেসময়ে অস্পৃশ্যতার বাছবিচার দূর হয়ে যায়নি। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী অস্পৃশ্যতা বিলোপ আইন তখনও চালু হয় নি। 

 

এদিকে নীলকন্ঠকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না তিনি অস্পৃশ্য সমাজের মানুষ! যেমন সুদর্শন চেহারা তেমনি পোষাকের পরিপাট্য! এবং কথা বার্তায় চালচলনে কলকাতা আদব কায়দা ভালো ই রপ্ত করে ছিলেন। 

 

অতএব হোটেলে ব্রাহ্মণদের বসার আসনে দিব্যি খাওয়ার পর্ব সারতেন নীলকন্ঠ। 

 

এমনই চলছিল। কিন্তু একদিন বাদসাধল। 

 

কি একটি প্রয়োজনে নীলকন্ঠ তার মামাকে কলকাতায় আনলেন। একটি হোটেলে খেতে বসে ভাগ্নার আন্তরিকতায় মুগ্ধ বৃদ্ধ মামা বলে উঠলেন, -" ও বাবা নীলকন্ঠ আর তো খাতি পারবুনি বাপ! "

 

নীলকন্ঠ তখন খাবারের দাম দিতে উঠে গিয়েছিলেন। 

 

এদিকে বৃদ্ধকে দেখে হোটেলের কর্মচারীদের সন্দেহ একটু ছিলই,এক কর্মী তার জাত জিজ্ঞাসা করতেই সহজ-সরল ভঙ্গিতে বললেন, -" আমি পোদের ছাবাল। "

 

এরপরের ঘটনা, নীলকন্ঠ অপমানিত হলেন। জরিমানা দিলেন। এঁটোপাত কুড়িয়ে হোটেল ধুয়ে মুছে তবে হোটেল কর্মীদের হাত থেকে রেহাই পেলেন। 

 

           _