click on images to know more about the Images
সুখের খোঁজে
কিছুদিন আগে মা সুস্থ হয়েছে
আপাতত এটুকুই সুসংবাদ,
তাছাড়া এ বাড়িতে সুসংবাদ আসেনি কোনোদিন
আর সুখ! সে তো অচিনপুরের পাখি।
কাল রাতে কিছুতেই ঘুম আসে নি,
গোটা রাত সময়ের সাথে চলেছে ধস্তাধস্তি।
এক কৃষ্ণগহ্বর প্রতিদিন আমাকে গিলতে আসে,
বুঝে উঠতে পারি না কিছুই। কী যে করি!
কীভাবে যে এর মুখ এঁটে দেওয়া যায়!
মাঝরাতে বিছানা ছেড়ে উঠে মায়ের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখি...
ঢুলু ঢুলু চোখে মা বিড়ি বাঁধছে অল্প কিছু সুখের খোঁজে।
বস্তা
পৃথিবীটাকে আজকাল একটা বস্তা মনে হয়।
কত কত স্বপ্ন এলোমেলো ভাবে ভরা থাকে।
বাবা একটা বস্তা ঘাড়ে নিয়ে এলে,
মনে হয় স্বপ্নের ফেরিওলা।
গোটা পৃথিবী তখন আমাদের হাতের মুঠোয়!
আনন্দ ও খুশিতে মা-ব্যাটার হৃদয় নেচে ওঠে।
যদিও আমাদের হৃদয় বলে কিছু নেই
যা আছে শুধু মাত্র হুটোপুটি আর লুটোপুটি।
হপ্তায় একবার বস্তা ভর্তি রেশন নিয়ে বাবা যখন আসে,
কুলা দিয়ে ঝেড়ে ঝেড়ে স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নকে আলাদা করে মা।
মাটির প্রেমিক
বৃষ্টির সাথে মায়ের সাতান্ন বছরের প্রেম।
জমিতে ধানের চারা রোপন করা হলে
পোয়াতি মায়েদের মত ধানের শীষ ফুলে ওঠে,
কখন যে ফসল হয়ে ঘরে উঠে আসে!
পোয়াতি অবস্থায় মাকে দেখিনি কখনও।
আমার জন্মের আগে মা পাঁচবার পোয়াতি হলে
দিদিরা হাত ধরাধরি করে ঘরে আসে,
শেষবারে আমি।
মায়ের সাথে আমার প্রেম চব্বিশ বছরের।
মা মাঠে ধানের চারা রোপন করছে,
আমি বৃষ্টি মাথায় মায়ের পেছন পেছন
কুড়োচ্ছি কেঁচো—বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরব বলে
ভাবতে অবাক লাগে,
আমরা মা-ব্যাটা দুজনেই প্রকাশ্য মাটির প্রেমিক।