click on images to know more about the Images
নদীটি বড় একলা,
তার বক্ষের উপরে সুবিস্তৃত সুনীল আকাশ,
তার দেহাভ্যন্তরে মীনগণ জলক্রীড়া করে প্রবল উচ্ছ্বাসে,
তার শান্ত,সমাহিত নীরে কত পালতোলা নৌকা যাওয়া-আসা করে প্রত্যহ,
কত ঘটনার ঘটন হয়েছে তার চওড়া,স্বচ্ছ স্ফটিকের মত টলমল জলে,
সে সবটা জানে,সে সবটা বোঝে,
এইতো গত শ্রাবণে তার অতল জলে তলিয়ে গেছে সাঁতার না জানা সাত বছরের ছোট্ট জয়ন্ত,
নদীটি সাক্ষী রয়েছে এ ঘটনার,
তার ভীষণ কষ্ট হয়েছে,
তার আঁখির জল তার আঁখিতেই শুকিয়ে গেছে,
কারণ জয়ন্তের মা যখন সন্তান হারানোর বেদনায় তার তীরে এসে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিল তখন নদীটি তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোন ভাষা খুঁজে পায় নি,
সে বরাবরই একলা,
এক আষাঢ় মাসের সন্ধ্যেয় প্রকৃতির প্রবল তাণ্ডবে নৌকাভর্তি লোকেরা নৌকা উল্টে তার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়,
নদীটি এত শত দুঃখের স্মৃতি আগলে আজও বড্ড একলা,নীরব,শান্ত,ধীর-স্থির,
সে বয়ে চলেছে নিরবধি,
তার তীরে স্থিত পাকুড় বৃক্ষের তলায় বিশ্রামরত গ্রামের লোকেরা মাঝে মাঝে তার কথা বলে,
নদীটি সব কান পেতে শোনে,
তার বুক ফেটে গেলেও সে নিশ্চুপ,নিঃশব্দ,নিস্তব্ধ থাকে,
তার কথা বলা যে বারণ,নিষেধ,
বেশি কথা বললে তার চলে না,চলবে না তাই।