click on images to know more about the Images
(শ্রী শ্রী হরি লীলামৃত থেকে নেওয়া) স্হান- সফলা নগরী,বাঙ্লাদেশ,ফরিদপুর,
বিশে(বিশ্বনাথ): মা, মাগো, ওমা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে! মাগো, মা!মা! ।
মা: বিশে, বিশে ও বিশে, কি হয়েছে বাবা।
বিশে: আমার খুব কষ্ট হচ্ছে মা, দেখ মা আমার খুব জ্বর ।
মা: বিশে, তুই আমাকে কেন বলিশনি বাবা, কিছু খাবি বাবা ।
বিশে: না! আমার খুব কষ্ট হচ্ছে মা, বমি বমি পাচ্ছে মা(কাশি ) ।
কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না।
পাতলা পায়খানা হচ্ছে।
মা: বিশে! বিশে! (বিশের মথায় জল দিল)
হোরে, হোরে ও হোরে! কোথা গে লি বাবা, ও হরে ( হরিচাঁদ )
বিশে: মা, আমি মনে হয় আর বাঁচব ন।(বিশে মোচ্ছা গৈল).
মা: (গান) , কাঙাল বেশে এলে তুমি দীনের ভগবান ।
সাথে ব্রজ নাটু বিশ্বনাথ (২) এল হরি প্রাণ ।।
কস্তুরী কুসুম গলে, রত্ন ডাঙায় হরি খেলে, হাম্বা রবে ডাকে গরু (২)
পাখি করে গান ।।
বিসূচীকা জ্বরে বিশের ওষ্ঠাগত প্রাণ,
উচ্চস্বরে কাদে মাতা কোথায় হরিচাঁদ ,
ও তোর প্রাণ সখা চলে গেলে রে,
আমার দীনমণি চলে গেলে রে,
আমি ত্যাজিব জীবন ।।
ব্রজ: হরে ও হরে ,শুনেছিস বিশের খুব জ্বর হয়েছে ,
বিশের ভেদ বমি হচ্ছে ।
মনে হয় বিশে বেচেঁ নেই ।
আমি একটূ আগে ওদের বাড়ির কাছ দিয়ে আসছিলাম ।
ওর মায়ের কান্নার শব্দ শুনে ওদের বাড়িতে গেলাম ।
গিয়ে দেখি বিশের মা জ্ঞান হারিয়েছে ।
বিশের কোন সাড়া শব্দ নেই ।
তাই তো ছুটতে ছুটতে তোর কাছে এলাম ।
হরে: ব্রজ নাটু চল বিশেদের বাড়ি যাই ।
নাটু: হরে ও হরে !
দেখ দেখ বিশের কানে হরি নাম দিচ্ছে ।
মনে হয় বিশে আর বেচেঁ নেই ।
হরে: নাটু, তুই চুপ কর !
আমার বিশে আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না ।
বিশে--- বিশে আমি এসেগেছি ।
তুই আমাকে ছেড়ে যেতে পারিশ না।
তুই যে আমার প্রাণ সখা !
তোর সাথে আমার জন্মজন্মান্তরের বন্ধন ।
ব্রজ একটু জল দেনা ।
( চোখে মুখে জল ছিটিয়ে দিল) ।
বিশে! বিশে ! ওঠ ভাই জল খা !
তুই কেন গোচারণে যাসনি ।
আমি ব্রজ,নাটু আজ হাম্বা হাম্বা খেলেছি ।
সকলে এক সাথে নেচেছি ।
ওঠ বিশে, চল ভাই চল গোচারণে যাই।
( গান). ব্রজ নাটু সনে হরি এল বিশের ঘরে,
ক্রন্দন ধ্বনি মায়ের তখন বাড়ে আর জোরে । মাতা বলে ওরে হরে তোর বিশে চলে যায় ,
বিশে ছাড়া এ জগতে থাকা হবে দায় ।
হরি বলে আমার বিশে যেতে নাহি পারে ,
ওর সাথে আমার হিদয় বন্ধন জন্ম জন্মান্তরে ।
দয়াল হরি কেদে বলেবিশে আমার যান,
আর কেদো না ওগো মাতা বিশে চল যাই গোচারণ । (শেষ)