click on images to know more about the Images
click on images to know more about the Images
হ্যাম্ম্যার বিহাকে প্যার গেলিহ্যা অষ্টাম্যাঙ্গলাম্যা রঘুনাথগ্যাঞ্জ শ্যহ্যরকে গোডাউন রোডম্যা শ্বশুরকে ঘ্যর । হুঁয়াসে প্যারদিন রাতকে বেলা গেলি আইলকে উপ্প্যার নানা শ্ব্যাশুরকে ঘ্যর । দোতালা দ্যলান ঘ্যর । ঘ্যরকে নাম বিজ্যয় ভ্যব্যন । রাতম্যা শুতলি খাড়া টানা সিড়ি ব্যাহিকে উঠি্ঠকে দোতালাকে উপ্প্যারম্যা । ভিন্নি হোগেল্যাহ্যা, অ্যওগি অ্যওগি ভাব । গাঁব্যায় ঘ্যার , নানাশ্ব্যাশুরকে ব্যাহিন রাধারানী , ভিন্নি ভিন্নিই চ্যাল অ্যাল্যাহ্যা ন্যাতনী দ্যমাদসে গ্যাল্প জ্যামাইলা । মিনা মামা ঘ্যরমেই হ্যল্যই জ্যন্যমসে দ্যশ প্যনারা ব্যচ্ছ্যর ব্যয়্যস প্যর্য্যন্ত। ত্যক্যর খাতিন মেল্লা ছ্যওড়ি প্যওড়িও হ্যল্যই স্যঙ্গি সাথী । ত্যকরাও অ্যল্যহ্য ল্যইয়া দ্যামাদ ব্যাহুকে সাতমে র্যঙ ত্যমাসা ক্যরকে ল্যগ্যড় লিয়্যলা । আরো অ্যল্যহ্য গাঁতুতো নানী । গাঁতুতো নানী, কাথা প্যহ্যইলে পাড়কে ক্যহ্যলক্যই য্যো, হ্যগে র্যাধিয়া, মিনাকে শ্ব্যাশুর ঘ্যার কোর্যাখ্যম দেখলে ? রাধারানী নানী ক্যাহ্যালক্যই য্যো , " খুব ভ্যাল্লা হ্যায় ,খুব ভ্যাল্লা দেখলি । কা ন্যাহি গির্যাসতালিম্যা , আটচ্যলা চার ভিট্টা মিলাকে টাইল উড়্যাইল ঘ্যার । ঘ্যারকে সামনে এক কোড়ে ব্যাড়কা চোবড়া আর একোড়ে ব্যাড়কা বারিম্যা শাক স্যাবজিকে ক্ষেত । বারিম্যা বাঁধিকে হ্যায় ড্যান্ঠা ত্যারোয় ক্যাখড়ি, র্যামপোরলা আর ক্যারলাকে বাহান ।ঘ্যারকে ক্যান্ঠাম্যা হ্যায় ব্যাড়কা পোখ্যার পোখ্যারকে ধার ধারম্যা হ্যায় আম জাম কেটেহের লেচু তেজপ্যাত্তা সাঁফড়ি আম আঁতা বেল ক্যটবেল উনকুট্টিকে গাছ গ্যছালিকে ব্যাগান । ঘ্যারকে দেহেওড়িম্যা টুকটুকিয়া ডালিম ধ্যারিকে হ্যায় ডালিম গাছমে । ডালিমকে গাছমে দুটা টুনটুনিয়া প্যক্ষি ই ডাল উডাল ক্যরলে বেড়াব্যহ্যই । ক্যলতালামে স্যন্ধ্যা রাতকে গির্যল ভাত দুটা ম্যইনা প্যক্ষি খোটিকে খাহাই । বাহারম্যা হ্যায় গুহ্যাইল ঘ্যার । দুটা গাই ,একটা ব্যাচ্ছু অ্যাওলা আর একটা ভ্যার্যান হ্যায়। একটা ব্যাক্ক্যান হ্যায় আর হ্যায় শ্যামলা সাদা র্যঙ মিলাকে প্যাখরা র্যঙকে দুটা উচ্চা উচ্চা হালকে ব্যাল্যাদ । ঘ্যার ঘ্যারম্যা কোঠি ভ্যাড়লি উনকুট্টি ঘ্যার ক্যারনাকে জিনিস স্যাজ্যাইল হ্যায় । আরো দ্যাখলি মেল্লা বোঁতক ,ক্যারিয়া প্যাখরা সাদা মিল্লিকে খ্যাস্সি দায়াড় পাঠা প্যাঠিয়া মেল্লা ব্যাকরি । আর কেত্তা ক্যাহ্যাবাও ভ্যাল্লাই দ্যামাদকে ঘ্যার প্যালক্যাহ্যা হ্যাম্যসকে বেদানা , মিনাকে মাই । " শুনি শুনি গাঁতুতো নানী ক্যাহ্যালক্যাই য্যো, স্যব্বিতো শুনলি গে র্যাধিয়া, ভ্যাল্লাইতো ল্যাগল্যাই । তো হ্যাগে , তোসকে মিনাতো রঘুনাথগ্যাঞ্জ শ্যহ্যরিয়া বেটি ,গোব্যার খাব্যর উঠাইলা মুঠিয়া গোরহা পারলা পারতাও তো ? রাধারানী নানী ক্যাহ্যালক্যায় যে , ক্যালা ন্যায়পারত্যাও ! মামী গেলাকে হ্যাশ্যাব কাম কাইজ ক্যারলা ন্যায়দেখক্যহ্য ন্যকা ? গাঁতুতো নানী ক্যাহ্যালক্যাই যে দেখ র্যাধিয়া , দেখ্যাল এক জিনিস আর ক্যার্যাল এক জিনিস গে ? নানী রাধারানী শুর চ্যড়হাকে ক্যাহ্যালক্যাই য্যো, " ক্যাল্লা ন্যায় পারত্যায় এত্তা সুন্ন্যর ভ্যাতারকে ঘ্যারক্যারনা প্যালক্যাহ্যা ,কাম কাইজ ক্যারল্যাইতো হোত্যায় "। হ্যাস্যব গ্যাল্প ওক্যাসকে চ্যালতেই র্যাহ্যাল্যাই এ্যাইস্যান সুমাই চার মামা শ্ব্যাশুরকে বেটা বেটি গেলা রিতা দিপ্তি ঝুমা অপু বাপ্পা স্যব মিলিকে ছ্যাই সাত জানা শালা শালি হৈ চৈ ব্যাধা দেকে ক্যাহ্যাইলা ল্যাগলাই য্যো ,
"জ্যমাই বাবু ক্যমলানেমু
অ্যক্ক্যলেই খাহ্যস ন্যই
অ্যক্ক্যলে খ্যইলে কাই পেট ঘুড়্যতাও
ব্যচ্চা হোতাও ন্যই।
জ্যনলা দেকে ব্যহু ভাগতাও
দেখলা প্যবে ন্যই "।
আবার কেহু কেহু ক্যাহ্যালক্যই য্যো,
"ব্যনহই হোল্যই জ্যম্বুবান
মিনা দিদি ধ্যরক্যই কান।"
এক্যার প্যার হৈ চৈ এত্তাই ল্যাগা দেলক্যায় য্যো ,আস্তে আস্তে ক্যারকে শুধু শুনলা প্যালি...
গাঁতুতো নানীকে মুখম্যা, " আ হা রে ! মিনাকে অ্যাপ্প্যান নানী ছাইপড়িটা যুতি অ্যখনি বাচ্চিকে র্যাহ্যাতিক মিনাকে ব্যারকে ঘ্যারক্যান্না দেখকে আনান্দ হুলসাকে কেত্তা ফূর্তি ক্যারতিক বেচারি ! "
বঙ্গানুবাদ :-
*লাইয়া ব্যারকে ঘ্যার*
"নতুন বরের ঘর"
আমার বিয়ের পর গেলাম অষ্টমঙ্গলাতে রঘুনাথগঞ্জে শহরেল গোডাউন রোডে শ্বশুরের ঘর । ওখান থেকে পরদিন রাতে গেলাম আইলের উপর নানা শ্বশুরের বাড়ি । দোতালা দালান ঘর । ঘরের নাম "বিজয় ভবন" । রাতে ঘুমালাম খাড়া টানা সিড়ি বেয়ে উঠে দোতালার উপরে । সকাল হয়েগেছে, আলসে ভরা ঘুমঘুম ভাব । এই গাঁয়েই ঘর , নানাশ্বশুরের বোন রাধারানী ভোর ভোরেই চলে এসেছে নাতি জামায়ের সঙ্গে গল্প জমাতে । মিনা( নববধূ )এই মামা বাড়িতেই মানুষ। মিনা এখানেই ছিল জন্মের পর থেকে দশ পনেরো বছর বয়স পর্যন্ত । তার জন্য মিনার এখানে অনেক ছোড়া ছুড়ির দল ছিল সঙ্গি সাথী হিসাবে ছিল । তারাও এসেছে দিদার(নানা শ্বশুরের বোন) সঙ্গে যোগ দিয়ে নব দম্পতির সঙ্গে জামাই রঙ্গ রসে মেতে উঠতে । আরো এসেছেন গাঁতুতো পড়শিতুতো নানিরা । এক গাঁতুতো নানী প্রথমেই কথা পেড়ে বলল যে, হাঁরে রাধি , মিনার শ্বশুর ঘর কি রখম দেখলি ? রাধারানী নানী বড়ায়ের সঙ্গে বলতে লাগল যে, " খুব ভালো আছে ,খুব ভালোই দেখলা । কি নাই গিরসতালিতে , আটচালা ঘর, চার ভিটা মিলিয়ে টাইল উড়ানো । ঘরের সামনে এক দিকে ইয়ে বড় পালাঙ্গা আর এক দিকে বড় পালাঙ্গায় শাক সবজির ক্ষেত । পালাঙ্গার বেধে আছে ডাঠা, ঝিঙে কাখড়, ভিন্ডি আর করলার মাচা । ঘরের পিছনে একটু দূরে আছে বড় পুস্কুনি(বড় পুকুর) । পুকুরের চারি ধারে আছে আম জাম কাঁঠাল লিচু তেজপাতা আমসাঁফড়ি আঁতা বেল কটবেল হরেক রখম গাছ গ্যছালির বাগান । ঘরের বারান্দার নিচের আঙ্গিনায় লাল টুকটুকে ডালিম ধরে আছে ডালিম গাছ । গাছটিতে প্রথম ভোরের দুটি টুনটুনি এডাল ওডাল করছে। কলতালায় জোড়া শালিক এসে রাতের পড়ে থাকা ভাত গুলি খুটে খাচ্ছে । বাইরে পালাঙ্গার দিকে আছে গোয়াল ঘর । দুটি গাই ,একটি বাচ্ছুর ওয়ালি আর একটি ভরন(গর্ভবতি) আছে। একটি বকন আছে আর আছে শ্যামলা সাদা রং মিলিয়ে পাখরা রং এর দুটি উচু উচু হালের বলদ । ঘরে ঘরে বড় কুঠি ছোটো কুঠি( মাটির তৈরি গম ধান রাখার জালা বা পাত্র) হরেক রখম গিরস্তালির সংসার চালানোর জিনিস পত্রে সাজানো । আরো দেখলাম অনেক গুলি হাঁস ,কালো পাখরা সাদা মিলিয়ে খাসি, দায়াড়,পাঠা পাঁঠি সব রকম মিলে অনেক ছাগল। । আর কতই বা বলব। এক কথায় ভালই পেয়েছে জামায়ের ঘর আমাদের বেদানা , মিনার মা । " শুনে শুনে পড়শিতুতো নানী বলল যে, " হাঁগে সবিই শুনলাম । শুনে শুনে ভালোইতো লাগল গে রাধি । তবে হাঁগে এক কথা, তোমাদের মিনাতো রঘুনাথ গঞ্জের শহরের ছুড়ি ,গোবর খাবর তুলতে, মুঠে ঘুঁটে দিতে পারবেতো ? রাধারানী নানী গলা উচুচিয়ে কইল যে , " ক্যানো পাইরবে না ! মামী গুলিকে এই সব কাজ কাম করতে দেইখছেনা নাকি ? " গাঁতুতো নানী কইল যে, "দেখ রাধি , দেখা এক জিনিস আর করা এক জিনিস গে ? রাধারানী আরও শুর চড়িয়ে কইল যে, "ক্যানে পাইরবে না এত্তো সুন্দর বরের ঘরকরনা ঘর সংসার প্যায়্যাছে ,কাজ কাম কইরতেইতো হবে " । এই সব গল্প ওদের চলতেই থাকল এমন সময় চার মামা শ্ব্যাশুরের ছেলে মেয়ে গুলি, রিতা দিপ্তি ঝুমা অপু বাপ্পা সব মিলে ছয় সাত জন শালা শালি হৈ চৈ বাধিয়ে বলতে লগল যে ,
"জামাই বাবু কমলালেবু
একাই খেও না,
একাই খেলে পেট গুড়াবে
বাচ্চা হবে না
জানলা দিয়ে বৌ পালাবে দেখতে পাবে না।"
আবার কেউ কেউ বলল যে,
" জামাই বাবু জাম্বুবান
মিনা দিদি ধ্যইরল কান।"
এর পরে তারা এতই হৈ চৈ লাগিয়ে দিল যে ,আস্তে আস্তে করে শুধুই শুনতে পেলাম যে, গাঁতুতো নানীর মুখে , " আ হা রে ! মিনার নিজের নানী ছাইপুড়িটা যদি এখন বেঁচে থাকত তাহলে মিনার বরের ঘর করকন্না দেখে আনান্দে আল্লাদে কতই না ফূর্তি কইরতক বেচারি !"
© 2021 | Bahujan Literature | All Rights Reserved | Developed by: 